নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) আওতায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার কার্যক্রম অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর ) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটি, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের যৌথ আয়োজনে আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।এতে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (অ.দা.) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, নোবিপ্রবি এপিএ টিম লিডার ও আইআইটির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম হোসেন, নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, দফতর প্রধানবৃন্দ।

অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোজাম্মেল হক মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব এবিএম ফজলুল হক বাদল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও অ্যালামনাই প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নোবিপ্রবি আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাশার।

মতবিনিময় সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘আমরা এ ধরণের সভা নিয়মিত করতে চাই, কারণ এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবার মতামত গ্রহণের সুযোগ থাকে। প্রতিটি কাজ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে নোবিপ্রবিতেও অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

যে কোনো ধরনের অনিয়মের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সুশীল সমাজসহ সকলের পরামর্শ নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে, তবেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনদের এ ধরনের মত বিনিময় অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ যা সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিয়ে অংশীজনদের কোনো অভিযোগ নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা প্রাধান্য পাচ্ছে।

উন্নয়ন কর্মকান্ড- ও একাডেমিক কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ চলাকালে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম চালুর ফলে তেমন কোনো সেশনজট তৈরি হয়নি। শিক্ষা ও গবেষণায় বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র‌্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নোবিপ্রবি।

একই সাথে গবেষণা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষক সমাজ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।